আবারো ভোর, আবারো অপেক্ষা।
আবারো জেগে ওঠো, এখনই সময়।
আমার সোনার বাংলাদেশ, এগিয়েই
যাবে।
আবারো ঝাঁপ দিবে এই মন, নির্ভয়।
জানে এই পৃথিবী, স্বাধীনতার ছবি।
আঁকা আমাদেরই হাতে।
দেখেছে এই দেশ, নতুনের বেশ।
শত আলো ভরা রাতে।
"তাই গর্জে ওঠো আবারো।।
পেছনে ফেলে সামনে বাড়ো।।
জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো।।
সময়ের লাগাম ধরে সামনে বাড়ো।।"
আমার দেশের মাটির মানুষ,
পলিমাটির মন।
অনেক আশার পথচেয়ে আছে,
সারাটা জীবন।
দেবনা নিভতে ওদের আশার আলো।
বুকের ভেতর তাই আলোর মশাল
জ্বালো।
"শোন একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-
প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণী।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ"
"সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো।
এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই
নিয়ে প্রস্তুত থাকো।
মনে রাখবা,
'রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো।
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো
ইনশাল্লাহ।'
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির
সংগ্রাম।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার
সংগ্রাম।
জয় বাংলা"
"জয় বাংলা বাংলার জয়"(৪
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধুলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর...
Comments
Post a Comment